শিক্ষানগরী হামিদপুর

অধ্যক্ষ মোঃ মফিজুল ইসলাম

যশোর সদর উপজেলার যশোর—নড়াইল মহাসড়কের পাশে মণিহার সিনেমা হল থেকে পূর্ব দিকে ২কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত শহরের কোলাহল বর্জিত চিরসবুজ গ্রাম হামিদপুর। যশোরের ইতিহাসে এ গ্রাম এক উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে। এর উত্তরে চাঁদপাড়া, দক্ষিণে সীতারামপুর, পূর্বে বাউলিয়া, কচুয়া ও রায়মানিক এবং পশ্চিমে বালিয়াডাঙ্গা গ্রাম। এ গ্রামের লোক সংখ্যা ২০২৫ সালের গণনায় ১০,০৪৫ জন। স্মরণাতীত কাল থেকে এ গ্রামে হিন্দু—মুসলমান পারস্পারিক সম্প্রীতি ও সৌহাদ্যর্পূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে আসছে। সুলতানী আমলে ইসলামের প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় সে আমলের তৈরি অপূর্ব স্থাপত্য কলাকৌশলে নির্মিত বিখ্যাত ‘শাহী মসজিদটি’ আজও তার স্বাক্ষর বহন করছে। প্রায় দু—মাইল দীর্ঘ বাওড়টি গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশকে আরো মনোমুগ্ধকর করেছে। হামিদপুর গ্রামের মানুষ আবহমান কাল ধরে ধর্মপ্রাণ ও শিক্ষানুরাগী। এরই সূত্র ধরে শিক্ষাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার পূর্বে পাড়া ভিত্তিক মানুষের দহলিজ ঘর তথা বাড়ির আঙ্গিনায় স্ব—স্ব পাড়ায় কোমলমতি সন্তানদের শিক্ষিত করার মানসে মক্তব বা পাঠশালার ধাচে ধমীর্য় শিক্ষার পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত করা হত। তদানিন্তন সময়ে অত্র গ্রামের সুধীজন তথা উৎসাহী বুদ্ধিজীবীরা প্রথমে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং এরই ধারাবাহিকতায় অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিও আত্মপ্রকাশ করে। যার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস নিম্নরূপ:

১। হামিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

হামিদপুর গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকল্পে অত্র গ্রামের মহৎপ্রাণ ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিরা তাঁদের নিজের বাড়ির আঙ্গিনায়, মসজিদের আঙ্গিনায় এমনকি নিজ নিজ দহলিজে গ্রাম্য পাঠশালা প্রতিষ্ঠা করেন। আনুমানিক ১৮৯৫ সালে ঐতিহাসিক শাহী মসজিদের দক্ষিণ পার্শ্বে একটি স্কুলঘর নির্মিত হয়, তখন মরহুম মুন্সী মোঃ ইউসুফ উক্ত স্কুলে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর হামিদপুর বাজার সংলগ্ন মানিকতলায় মরহুম মোবারক আলী মোল্যার জমির উপর প্রথম আনুষ্ঠানিক ভাবে ১৯২৮ সালে হামিদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়টি হামিদপুর বাজারে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ০১/০৭/১৯৭৩ সালে বিদ্যালয়টি সরকারি করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টি আটজন শিক্ষক কর্মরত আছেন। বর্তমান ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ৩০৩ জন। বিদ্যালয়টি বর্তমানে এক শিফটে পরিচালিত হয়। প্রয়োজন ও শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে স্কুলটি স্থানান্তরিত হয়ে বর্তমান স্থানে (যশোর—নড়াইল মহাসড়কের পাশে) প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীকালে স্কুলটি সরকারীকরণের মাধ্যমে অতি সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে। স্কুলের প্রয়োজন ও পরিসর বৃদ্ধির লক্ষ্যে গ্রামের মহৎপ্রাণ ব্যক্তিগণ ১ একর জমি দান করেন। অত্র স্কুলটি সঠিকভাবে পরিচালিত হবার জন্য কমিটি গঠনে বিধি প্রয়োগের সময়কাল হতে গঠিত পরিচালনা পরিষদের স্বনামধন্য সভাপতির পদ যারা অলংকৃত করেছেন তাঁরা হলেন— ০১। মরহুম গোলাম সরোয়ার সিকদার ০২। মরহুম শহীদ উদ্দীন সিকদার ০৩। অধ্যাপক মুন্সী মোঃ বদরুদ্দোজা ০৪। মোঃ আব্দুল মালেক গাজী (সাবেক প্রধান শিক্ষক, হামিদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়) ০৫। মোঃ মনজুর রশিদ ০৬। মোঃ দাউদ হোসেন ০৭। মোঃ ফরিদুজ্জামান মনু ০৮। মোঃ শাহাদাৎ হোসেন ০৯। মোছাঃ মর্জিনা খাতুন ১০। এস এম সেলিম আহমেদ ১১। প্রবীর মিত্র, অটচঊঙ এ প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাকাল হতে যে সকল শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসাবে নিরলস পরিশ্রম করেছেন তাঁরা হলেনঃ ০১। মরহুম মুন্সি মোঃ ইউসুফ ০২। মরহুম শেখ আমির হোসেন ০৩। মৃত অশোক কুমার ঘোষ ০৪। মরহুম আব্দুল মাজেদ ০৫। মরহুম আমজাদ হোসেন ০৬। মরহুম মৌলবি আব্দুল হাদী ০৭। মরহুম মোঃ ফসিয়ার রহমান সিকদার ০৮। মরহুম মোঃ সফিয়ার রহমান ০৯। মৃত হরিপদ দাস ১০। মরহুম মোঃ সাদেক হোসেন ১১। মৃত গৌরহরি পাল ১২। আলহাজ্ব মোঃ নুর আলি মন্ডল ১৩। মোঃ মোদাচ্ছের হোসেন ১৪। বি, এম, তরিকুজ্জামান (২০১০—বর্তমান) এ বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে যে সকল বিশেষ ব্যক্তিত্ব সর্ব সময় সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন তাঁরা হলেন—

 

০১। মরহুম আফিল উদ্দীন খলিফা ০২। মরহুম শমসের আলি মোল্যা ০৩। মরহুম গহর আলি গাজী (প্রাক্তন চেয়ারম্যান) ০৪। মরহুম মোবারক আলী মোল্যা ০৫। মরহুম শহীদ উদ্দীন সিকদার ০৬। অধ্যাপক মুন্সী মোঃ বদরুদ্দোজা ০৭। মোঃ মোকাদ্দেস হোসেন (বাবু) ০৮। মোঃ আঃ মালেক গাজী (সাবেক প্রধান শিক্ষক, হামিদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এ গ্রামের অন্যতম কৃতিসন্তান হামিদপুর আল—হেরা কলেজের অধ্যক্ষ জনাব মোঃ মফিজুল ইসলাম সকল সময় সঠিক দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন। প্রতিষ্ঠাকাল হতে বর্তমান সাল পর্যন্ত যারা সরকারি বৃত্তি লাভ করেছেন— ০১। মোঃ মফিজুল ইসলাম—১৯৭৫ (বর্তমান অধ্যক্ষ, হামিদপুর আল—হেরা কলেজ, যশোর।) ০২। মোঃ শামসুল আরেফিন (ফিরোজ)—১৯৭৫ ০৩। মোসাঃ মনজুরা খাতুন—১৯৭৫ ০৪। হোসাইন—১৯৮৫ ০৫। মোঃ আব্বাস আলি—১৯৮৯ ০৬। নাছিরা খাতুন—১৯৯০ (প্রধান শিক্ষক, চাঁদপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) ০৭। মোঃ মজিবুল ইসলাম—১৯৯৩ ০৮। নাতাশা বারী—১৯৯৩ ০৯। মোসাঃ শারমিন সুলতানা—১৯৯৫ ১০। আরেফিন সুলতানা—১৯৯৬ ১১। মাহামুদুল হাাসন সোহাগ—১৯৯৭ (লেফে্টন্যান্ট কর্ণেল, রামু সেনানিবাস) ১২। হাছানুল বান্না—২০০৪ ১৩। তামান্না খাতুন—২০০৫ ১৪। ফাতেমাতুজ জোহরা—২০০৮ ১৫। আহসান কবির রনি—২০০৯ ১৬। মোঃ মাসুদুর রহমান—২০১০ ১৭। মালিহা খাতুন লিয়া—২০১৮ ১৮। মেহেদী হাসান তামিম—২০১৯ **২০১৯ সালের পর থেকে বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়।

২। হামিদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়

অত্র গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করার পর এলাকার জনগণ এ গ্রামে একটি উচ্চবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। অবশেষে অত্র গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে ১৯৬৪ সালে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়, কমিটির সদস্যরা হলেন— ১। মরহুম শহীদ উদ্দীন সিকদার (সভাপতি) ২। মরহুম গহর আলী গাজী, প্রাক্তন চেয়ারম্যান (সদস্য) ৩। মরহুম আফিল উদ্দীন খলিফা (সদস্য) ৪। মরহুম মোবারক আলী মোল্যা (সদস্য) ৫। আলহাজ্ব বদর উদ্দীন মোল্যা (সদস্য) কমিটির সার্বিক সহযোগিতায় ১৯৬৫ সালে ১লা জানুয়ারি ৬ষ্ঠ শ্রেণী হতে ছাত্র—ছাত্রী ভর্তি করে এ যাত্রা শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে প্রথম পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১০০% উত্তীর্ণ হয়। এ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় যিনি নিরলস পরিশ্রম করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম বিশিষ্ট ব্যক্তি হলেন বর্তমান প্রতিষ্ঠান প্রধান জনাব মোঃ আব্দুল মালেক গাজী। এ প্রতিষ্ঠানে সর্বপ্রথম সরকারি অনুদান প্রদান করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান। স্কুলটি ১৯৮৫ সালে এম.পি.ও ভুক্ত হয়। স্কুলটির জমির পরিমাণ ১ একর ২৮ শতক। এ প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময় বিধি অনুযায়ী গঠিত কমিটির সভাপতি/সহ—সভাপতির পদ যারা অলংকৃত করেছেন তাঁরা হলেন—
১। শহীদ জনাব শহীদ উদ্দীন আহম্মদ—প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি— ০১.০১.১৯৫
২। জনাব মোঃ সাঈদ হোসেন—বিশিস্ট সমাজসেবক— ২৬.০২.১৯৭৫—১৩.১৯৭৭
৩। জনাব মোঃ আলাউদ্দীন—সার্কেল অফিসার উন্নয়ন—১৪.১১.১৯৭৭—১৭.০২.১৯৮১
৪। জনাব মুহাম্মদ আলতাফ হোসেন—সার্কেল অফিসার উন্নয়ন— ১৮.০২.১৯৮১—২৬.০৪.১৯৮৪
৫। জনাব কপিল কৃষ্ণ সরকার—উপজেলা নির্বাহী অফিসার—২৭.০৪.১৯৮৪—২৩.০১.১৯৮৬
৬। জনাব মোঃ রবিউল আলম—উপজেলা চেয়ারম্যান—২৪.০১.১৯৮৬—০৯.১১.১৯৮৯
৭। জনাব মোঃ মোকাদ্দেছ হোসেন বাবু—বিশিষ্ট সমাজসেবক—১০.১১.১৯৮৯—০৬.০২.১৯৯৭
৮। জনাব মকসুমুল এইচ চৌধুরী— অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক—০৭.০২.১৯৯৭—২১.০১.১৯৯৮
৯। জনাব ডাঃ শেখ রেজাউল হোসেন—বিশিষ্ট সমাজসেবক—২২.০১.১৯৯৮—২৭.০২.২০০১
১০। জনাব মোকাদ্দেছ হোসেন বাবু—বিশিষ্ট সমাজসেবক—২৮.০২.২০০১—২৭.০১.২০০৭
১১। জনাব জাহানারা বেগম—উপজেলা নির্বাহী অফিসার—২৮.০১.২০০৭—২৩.০৭.২০০৮
১২। জনাব হোমাইয়ারা বেগম—উপজেলা নির্বাহী অফিসার—২৪.০৭.২০০৮—১৪.০৪.২০০৯
১৩। জনাব মুহাম্মদ রেজাউল করিম—উপজেলা নির্বাহী অফিসার—১৫.০৪.২০০৯—১১.০৮.২০০৯
১৪। জনাব মোঃ ইসমাইল হোসেন—বিশিষ্ট সমাজসেবক—১২.০৮.২০০৯—০২.০২.২০১২
১৫। জনাব মোঃ মঞ্জুর রশিদ—বিশিষ্ট সমাজসেবক—০৩.০২.২০১২—০৭.০২.২০১৪
১৬। জনাব মোঃ মোকাদ্দেছ হোসেন বাবু—বিশিষ্ট সমাজসেবক—০৮.০২.২০১৪—০৮.০২.২০১৬
১৭। জনাব মোঃ ইসমাইল হোসেন—বিশিষ্ট সমাজসেবক—০৯.০২.২০১৬—০৪.০৩.২০২০
১৮। জনাব মোঃ আজগার আলী গাজী—বিশিষ্ট সমাজসেবক—০৫.০৩.২০২০—১৪.০৩.২০২২
১৯। জনাব ফাতেমা আনোয়ার—বিশিস্ট সমাজসেবক—১৫.০৩.২০২২—২৭.০৩.২০২৩
২০। জনাব শেখ সোহরাব হোসেন—ইউপি চেয়ারম্যান—০২.০৫.২০২৩—২৯.০৪.২০২৪
২১। জনাব মোঃ রবিউল আউয়াল—বিশিষ্ট সমাজসেবক—০৩.০৪.২০২৪—১৯.০৮.২০২৪
২২। জনাব রিপন বিশ্বাস—উপজেলা নির্বাহী অফিসার—২০.০৮.২০২৪—০৯.০৯.২০২৪
২৩। জনাব শারমিন আক্তার—উপজেলা নির্বাহী অফিসার—১০.০৯.২০২৪—০৬.০৪.২০২৫
২৪। জনাব অধ্যক্ষ মোঃ মফিজুল ইসলাম—শিক্ষানুরাগী—০৭.০৪.২০২৫ হতে বর্তমান
*বিভিন্ন সময়ে সহ সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন (আর্থিক ক্ষমতাসহ) তাঁরা হলেন—
১। মরহুম গহর আলী গাজী (সাবেক চেয়ারম্যান/প্রেসিডেন্ট)। ২। অধ্যাপক মুন্সী মোঃ বদরুদ্দোজা (শিক্ষানুরাগী) ৩। মোঃ আঃ রহমান গাজী (বিশিষ্ট সমাজসেবক) ৪। অধ্যক্ষ মোঃ মফিজুল ইসলাম (শিক্ষানুরাগী) এ প্রতিষ্ঠানে যে সকল গুণীজন প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন তাঁরা হলেন—
১। জনাব এস. কে আব্দুর রশিদ— ০১.০১.১৯৬৯ হতে ৩০.০৬.১৯৭০
২। জনাব সুনিল কুমার দাশ—০১.০৭.১৯৭০ হতে ০১.১১.১৯৭৫
৩। জনাব মোঃ খেলাফত হোসেন— এম.এ.—০২.১১.১৯৭৫—০১.১১.১৯৭৬
৪। জনাব মোঃ জামাল উদ্দীন— ০২.১১.১৯৭৬ হতে ১৬.০৪.১৯৭৯ (সাবেক অধ্যক্ষ, যশোর কলেজ, যশোর)
৫। জনাব মোঃ আব্দুল মালেক (ভারপ্রাপ্ত)— ১৭.০৪.১৯৭৯—১৩.০৭—১৯৮০
৬। জনাব মোঃ রজব আলী (ভারপ্রাপ্ত)—১৪.০৭—১৯৮০ হতে ০৯.০৮.১৯৮১
৭। জনাব মোঃ আব্দুল মালেক— ১০.০৮—১৯৮১—১৭.০৬.২০০৩
৮। জনাব মোঃ আব্দুল মালেক (ভারপ্রাপ্ত)—২৮.০৬.২০০৩ হতে ২৮.০৬.২০০৭
৯। জনাব মোঃ আয়ুব হোসেন (ভারপ্রাপ্ত)—২৯.০৬.২০০৭ হতে ০৪.০৮.২০০৮
১০। জনাব মোঃ আহম্মদ হোসেন (ভারপ্রাপ্ত)—০৫.০৮.২০০৮ হতে ৩১.১০.২০০৯
১১। জনাব মাও মোঃ গোলাম রব্বানী (ভারপ্রাপ্ত)—০১.১১.২০০৯ হতে ১১.১১.২০০৯
১২। জনাব মোঃ সাজ্জাদ ইকবাল— ১২.১১.২০০৯ হতে ৩০.০৩.২০২২
১৩। জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম (ভারপ্রাপ্ত)— ৩১.০৩.২০০ হতে ১৬.০৫.২০২৩
১৪। জনাব মোঃ আব্দুস সোবহান (ভারপ্রাপ্ত)—১৭.০৫.২০২৩ বর্তমান

এ প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক উন্নয়নে তথা পাঠ্যপুস্তক ও প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ, শাখা খোলা, শ্রেণী কক্ষে নিয়মিত পাঠদান বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন হামিদপুরের অন্যতম কৃতিসন্তান এবং হামিদপুর আল—হেরা কলেজের অধ্যক্ষ, জনাব মোঃ মফিজুল ইসলাম। ভূতপূর্ব বাংলাদেশের মহামান্য প্রেসিডেন্ট হুসেইন মোঃ এরশাদ হামিদপুর স্কুল মাঠে ১৯৮৭ সালে শুভ আগমন পূর্বক স্কুলের শিক্ষাভবন নির্মাণের জন্য দুই লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করলে স্কুলের দ্বিতল ভবন নির্মাণ সম্ভব হয়। এছাড়া মাননীয় মন্ত্রী জনাব তরিকুল ইসলামের বিশেষ বদান্যতায় ১৯৯৫ সালে একটি নতুন ভবন নির্মাণ ও প্রমোট বাংলাদেশ কর্তৃক দেড় লক্ষ টাকায় একটি শিক্ষক মিলনায়তন নির্মান করা হয়েছে। স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সম্ভাব্য অষ্টম শ্রেণীতে বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩০ জন। এ পবিত্র বিদ্যাপীঠ হতে অগণিত হার—ছাত্রী পাশ করে দেশ বিদেশে কর্মরত আছেন, এর মধ্যে অনেকেই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অধ্যক্ষ, অধ্যাপনা ম্যাজিস্টে্রট, এ্যাডভোকেট, শিক্ষক—শিক্ষিকা হয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বর্তমান সময়ে (২০২৫ সাল) ছাত্র—ছাত্রীর সংখ্যা ৮০০ জান অন্যায় প্রতিষ্ঠানের ন্যায় এ প্রতিষ্ঠানটি দিন দিন উন্নতি লাভ করুক এটাই এলাকাবাসীর একান্ত চাওয়া পাওয়া।

৩। হামিদপুর দারুল আমান দাখিল মাদ্রাসা

সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ধমীর্য় শিক্ষাদানের বিষয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের চিন্তার কারণ হয়ে দেখা দেয়, এরই সূত্র ধরে প্রাথমিক পর্যায়ে হামিদপুর বাজার মসজিদ সংলগ্ন জায়গাতে ১৯৭৬ সালে বাঁশের খুঁটি ও চাটাই ব্যবহার করে শুধুমাত্র পবিত্র কোরআনপাঠ শিক্ষাদানের মধ্যে দিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়। এ পবিত্র প্রতিষ্ঠানে যারা বিনা পারিশ্রমিকে শিক্ষকতা করেছেন তাঁরা হলেন— ১। মরহুম আব্দুল হামিদ ২। মাওলানা মোঃ ইসমাইল হোসেন ৩। মাওলানা আব্দুস কুদ্দুস এখানে কিছুদিন পাঠদান করার পর মাদ্রাসাটির পাঠদান বর্তমান প্রি—ক্যাডেট নার্সারী স্কুলে স্থানান্তরিত হয়। এলাকার আপামর মুসলিম জনগণের তরফ হতে দক্ষ আলিম তৈরির জন্য পূর্ণাঙ্গ মাদ্রাসা তথা দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠার দাবি উত্থাপিত হয়। অবশেষে ১৯৮২ সালে ১লা জানুয়ারি তারিখে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠার জন্য এক শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যগণ হলেন— ১) অধ্যাপক মুন্সী মোঃ বদরুদ্দোজা ২) মোঃ মোকাদ্দেস হোসেন (বাবু) ৩) আলহাজ্ব মোঃ গোলাম রহমান ৪) মাওলানা ইসমাইল হোসেন ৫) মাওলানা আবুল হোসেন ৬) মাওলানা নূরুল ইসলাম (উপাধ্যক্ষ, যশোর আমিনিয়া আলিয়া মাদ্রাসা) ৭) আলহাজ্ব মোঃ বদরউদ্দীন মোল্যা ৮) মোঃ রবিউল আওয়াল ৯) মোঃ ফরিদুজ্জামান সিকদার ১০) মোঃ নওশের আলী ১১) মরহুম ডাঃ মোঃ আব্দুল গফুর ১২) মরহুম গহর আলী গাজী, (প্রাক্তন চেয়ারম্যান) ১৩) জনাব মোঃ আব্দুল মালেক, প্রধান শিক্ষক, হামিদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মাননীয় মন্ত্রী জনাব তরিকুল ইসলাম প্রধান পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকা পালন করেন। তাঁর বদান্যতায় ১৯৯৫ সালে মাদ্রাসার জন্য ৮লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি একাডেমিক বিল্ডিং নির্মিত হয়। কমিটির সভায় বিস্তারিত আলোচনান্তে জনাব মাওলানা ইসমাইল হোসেন সাহেবের প্রস্তাবে ও কমিটির সদস্যগণের সর্বসম্মতিক্রমে মাদ্রাসাটির নামকরণ করা হয় “হামিদপুর দারুল আমান দাখিল মাদ্রাসা”। মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জমির প্রয়োজনে জনাব আব্দুর রহমান ও জনাব মোশারফ হোসেন মাদ্রাসার জন্য ০.৭৪ শতক জমি দান করেন এবং ঐ সংঙ্গে আরও ৪৬৬ শতক জমি ক্রয় করা হয় (০.৭৪+০.৪৬৬= ০.৭৮৬৬ শতক) এবং ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত এ মাদ্রাসাটি ১৯৮৭ সালে ১লা মার্চ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত তথা এম.পি.ও. ভুক্ত হয়। মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের বদান্যতায় ১৯৯৫ সালে একটি একটি নতুন ভবন নির্মিত হয়। প্রকাশ থাকে যে, মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠালগ্নে যশোর আমিনিয়া মাদ্রাসার বর্তমান উপাধ্যক্ষ জনাব মাওলানা নূরুল ইসলাম সাহেবের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসাবে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তাঁরা হলেন— ০১। মরহুম ডাঃ আব্দুল গফুর (ভারপ্রাপ্ত) ০২। মাওলানা আরিফুল্লাহ ০৩। মাওলানা আশেক ইলাহি (ভারপ্রাপ্ত) ০৪। হাফেজ মাওলানা এ. কে. এম. মঈনুদ্দীন (বর্তমান) বর্তমান সময়ে মাদ্রাসার পাবলিক পরীক্ষায় এ জেলার বিশেষ আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে, গত ১৯৯৫ সালে পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে এ জেলার মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। মাদ্রাসাটির লেখাপড়ার মান অত্যন্ত সন্তোষজনক। ২০০৩ সালে মাদ্রাসার প্রধান হাফেজ মাওলানা হাফেজ এ. কে. এম মঈনুদ্দীন ‘শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান’ ও ২০০৪ সালে সদর উপজেলার ‘শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’ হিসাবে নির্বাচিত হয়। এ মাদ্রাসা হতে যারা বৃত্তি পেয়েছে তারা হল— ০১। মোঃ শাহরিয়ার ০২। মোঃ মুনির হোসেন ০৩। মোঃ ফসিউল ইসলাম ০৪। মোঃ ইকরামুল হাসান। এ যাবৎ অত্র মাদ্রাসা হতে যারা জি.পি.এ—৫ পেয়েছে তারা হল— ০১। শাহরিন হাজেরা —২০০৪ সাল ০২। মোঃ ইউসুফ আলী —২০০৫ সাল ০৩। মোঃ আশিকুজ্জামান—২০০৫ ০৪। মোঃ হেলাল উদ্দীন ২০০৫ ০৫। মোঃ শারমিন নাহার—২০০৬ ০৬। মোসাঃ নাফিজা খাতুন—২০০৬ ০৭। মোঃ ইউনুস আলী —২০০৬ ০৮। মোঃ আসাদুজ্জামান ২০০৬ ০৯। সালমা তাবাসসুম—২০০৮ ১০। আব্দুর রহমান—২০০৮ ১১। সাদিকুর রহমান—২০০৯ ১২। হুমায়ুন কবির—২০০৯ ১৩। আব্দুর রব—২০১০ ১৪। আহমাদুল্লাহ—২০১১ ১৫। সুরাইযা বিলকিস—২০১২ ১৬। আব্দুল হাসানাত—২০১৩ ১৭। হাদিউজ্জামান—২০১৩ ১৮। রাশিদুল ইসলাম—২০১৫ ১৯। নিশাত জাহান—২০২১ ২০। মুরশির আনজুম—২০২১ ২১। তাকিয়া সাকেয়া—২০২২ ২২। খাদিজা খাতুন—২০২২ ২৩। তাসনিম নিশি—মিথিলা—২০২২ ২৪। আরিয়ান ইসলাম—২০২৪ বর্তমান বছরে (২০২৫) অত্র মাদ্রাসায় ৩৮৫ জন ছাত্র—ছাত্রী অধ্যায়ন করছে, মাদ্রাসার এ অগ্রযাত্রা চলমান। থাকুক এটা এলাকার জনগণের আশা আকাক্সক্ষা। এ মাদ্রাসায় লেখাপড়ার মান উন্নয়নের জন্য হামিদপুর আল—হেরা কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মফিজুল ইসলাম এবং সহঃ অধ্যাপক মোঃ আঃ হাকাম সবসমর খোঁজখবর নেন ও মূল্যবান পরামর্শ প্রদান করেন এবং প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছেন। প্রকাশ থাকে যে, অত্র গ্রামের কৃতিসন্তান ও শিক্ষানুরাগী অধ্যাপক মুন্সী মোঃ বদরুদ্দোজা সাহেব মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাকাল হতে অদ্যাবধি সভাপতিসহ—সভাপতির পদ অলংকৃত করে আসছেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে থানা/উপজেলা নির্বাহী অফিসারগন সভাপতি পদ অলংকৃত করেছেন— অত্র মাদ্রাসায় সভাপতি দায়িত্ব পালন করেছেন যারা— ০১। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ০১/০১/১৯৮২— ০২/০১/২০১০ ০২। মোঃ রবিউল আওয়াল ০৩/০১/২০১০—১৪/০৪/২০১২ ০৩। মোঃ শাহাদাত হোসেন ১৪/০৪/২০১২—১৪/০৩/২০১৪ ০৪। মোঃ আজাহার আলী বিশ্বাস ২৫/০৩/২০১৪—০৪/০৯/২০২০ ০৫। শেখ সোহরাব হোসেন ০৫/১১/২০২০—০৬/০১/২০২২ ০৬। মোঃ শওকত আলী ০২/০৪/২০২২—১২/০৪/২০২৫ ০৭। মাওলানা মোঃ আব্দুস কুদ্দুস (বর্তমান) ১৩/০৪/২০২৫

 

৪। হামিদপুর ক্রিসেন্ট প্রি—ক্যাডেট নার্সারী স্কুল

অত্র গ্রামের কিশোর কিশোরীদের প্রাইমারী স্কুলের লেখাপড়া সুযোগ থাকলেও উচ্চতর তথা আধুনিক ভাবধারায় শিশুদেরকে শিক্ষিত করার ব্যবস্থা না থাকায় বিত্তশালী তথা অর্থনৈতিক ভাবে সক্ষম অভিভাবকগণের সন্তানদের উন্নতমানের শিক্ষার জন্য যে দুজন বিশেষ ব্যক্তিত্ব সর্ব প্রথম চিন্তা ভাবনা করেন তারা হলেন অধ্যাপক মুন্সী মোঃ বদরুদ্দোজ ও মোঃ মোকাদ্দেস হোসেন (বাবু)। অবশেষে নিম্নলিখিত সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে হামিদপুর প্রি—ক্যাডেট স্কুল প্রতিষ্ঠা লাভকরে এবং ০১—০১—৮৫ তারিখ হতে স্কুল চালু করা হয়। বর্তমানে স্কুলের জমির পরিমাণ ১৫ শতক। প্রতিষ্ঠাতা সদস্যগণের নাম ঃ ১। অধ্যাপক মুন্সী মোঃ বদরুদ্দোজা ২। মোঃ মোকাদ্দেস হোসেন (বাবু) ৩। মোঃ আব্দুল মালেক গাজী ৪। মোঃ রবিউল আওয়াল মৃধা (রবি) ৫। মোঃ আব্দুর রাজ্জাক

স্কুলটি সুচারুভাবে পরিচালনার জন্য যে সকল গুণীজন অধ্যক্ষের পদ অলংকৃত করেছেন তাঁরা হলেন— ১। মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ২। মোঃ শরিফুল ইসলাম ৩। মোঃ জাফর আলী ৪। মোঃ আতিয়ার রহমান ৫। অধ্যাপক মুন্সী মোঃ বদরুদ্দোজা ৬। মোঃ আকরামুল হক ৭। মোঃ মাসুদ রানা ৮। মোঃ জাকির হোসেন (বর্তমান) স্কুলটির সার্বিক উন্নয়ন ও তত্ত্বাবদানের জন্য প্রথম হতে পরিচালনা পরিষদের সভাপতির পদ অলংকৃত করে আসছেন মোঃ রবিউল আওয়াল মৃধা।

স্কুলটির লেখাপড়ার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে যে শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি হলেন হামিদপুর গ্রামের কৃতি সন্তান ও হামিদপুর আল—হেরা কলেজের অধ্যক্ষ জনাব মোঃ মফিজুল ইসলাম। বর্তমানে স্কুলটির অবকাঠামোগত উন্নয়ন সহ সার্বিক বিষয়ে সহযোগিতা করছেন ১২নং ফতেপুর ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব মাহফিজুল ইসলাম (বাদশা)। উন্নত লেখাপড়ার কারণে এ প্রতিষ্ঠান থেকে এ যাবৎ ১১ জন ছাত্র—ছাত্রী সরকারী বৃত্তি লাভ করতে সক্ষম হয়েছে তারা হলঃ ১। মোসাঃ নাছিরা খাতুন ২। বদরুন্নাহার ৩। শারমিন সুলতানা ৪। আফরিন সুলতানা লীজ ৫। মাহমুদুল হাসান ৬। পপি রানী পাল ৮। জাকিয়া সুলতানা ৭। ইয়াসমিন সুলতানা এ্যানি ৯। মোস্তাফিজুর রহমান ১০। চন্দ্র শেখর দত্ত ১১। মোঃ হাসানুল বারী ২০০৭ সালের পর থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন হামিদপুর আল—হেরা কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আকরামুল হক। অত্র বিদ্যালযের দায়িত্বরত অবস্থায় বিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো, লেখাপড়ার পরিবেশ এবং বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ দূর্বল হয়ে পড়লে ২০১৬ সালে অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি মহোদয়ের আদেশক্রমে অত্র গ্রামের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদগণ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে একটি জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় বিদ্যালয়টির ভৌত অবকাঠামো উন্নত ও শিল্প ব্যবস্থার মান উন্নয়ন করার লক্ষে ২০১৬ থেকে বিদ্যালয়টি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। অত্র বিদ্যালয়ের সুযোগ্য সভাপতি জনাব মোঃ রবিউল আওয়াল সাহেবের সুযোগ্য সন্তান জনাব মোঃ তরিকুল ইসলাম এবং মোঃ মাসুদ রানাকে তাদের সুদক্ষ পরিচালনায় এবং হামিদপুর আল—হেরা কলেজের সুযোগ্য অধ্যক্ষ জনাব মোঃ মফিজুল ইসলামের আন্তরিকতা ও তার উপদেশে বিদ্যালয়টির ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন কাজ এখনো পর্যন্ত চলমান রয়েছে।

বিদ্যালয়টির বর্তমান শিক্ষারমান ও অবকাঠামো পরিবর্তনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ জাকির হোসেন। তার নেতৃত্বে একঝাঁক উচ্চ শিক্ষিত ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী দ্বারা বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ২০০ জনেরও অধিক।

৫। হামিদপুর আল—হেরা কলেজ

সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরী স্বপ্ন পূরণের পরপরই গ্রামের আপামর জনসাধারণ কলেজ প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করেন। কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৯৪ সালের ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভ সময়ে সর্বপ্রথম আলোচনা হয় হামিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব আব্দুল মালেক সাহেবের অফিস কক্ষে। এ আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন শ্রদ্ধেয় শিক্ষাবিদ জনাব অধ্যাপক মুন্সী মোঃ বদরুদ্দোজা, ১২নং ফতেপুর ইউনিয়নের তৎকালীন সুযোগ্য চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবক জনাব মোকাদ্দেস হোসেন (বাবু), বিশিষ্ট সমাজ সেবক আব্দুর রহমান গাজী এবং হামিদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ আব্দুল মালেক এবং বর্তমান অধ্যক্ষ জনাব মোঃ মফিজুল ইসলাম। আলোচনায় স্থির হয় যে, এ গ্রামের তথা এলাকার জনগণের দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য ০২—০৪—১৯৯৪ ইং তারিখে উচ্চশিক্ষিত তরুণদের মধ্যে বর্তমান অধ্যক্ষ মোঃ মফিজুল ইসলাম ও মোঃ আঃ হাকামসহ মাহফিজুল ইসলাম (বাদশা), মোঃ আঃ কুদ্দুস, মোঃ খলিলুর রহমান, মোঃ ইসমাইল হোসেন ও রাজু আহমেদের সঙ্গে আর এক সভাতে তারা এ কলেজ স্থাপনের অনুকূলে জোরালো মতামত পেশ করেন। সেই সভা থেকে সিদ্ধান্ত হয়, শীঘ্রই প্রাথমিক আলোচনা ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সহযোগিদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করা হোক এবং আলোচনার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ০২—০৫—১৯৯৪ এক আলোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে অধ্যক্ষ মোঃ মফিজুল ইসলাম, মোঃ আঃ হাকাম, মাহফিজুল ইসলাম (বাদশা), মোঃ আঃ কুদ্দুস, মোঃ খলিলুর রহমান, মোঃ ইসমাইল হোসেন ও রাজু আহমেদসহ মোফাজ্জেল হোসেন শিকদার, রবিউল আউয়াল, আজগর আলী গাজী, আঃ বারিক মোল্লা, গোলাম রহমান, রজব আলী বিশ্বাস, সামছুল হক, মাস্টার মোঃ নুরুন্নবী, এ্যাড. মোঃ রুহুল কুদ্দুস, ডাঃ আঃ গফুর, মিজানুর রহমান শিকদার, মনজুর রশীদ, হবিবার রহমান গাজী, আনিছুর রহমান গাজী, হাফেজ রেজওয়ানুল বারী, আবু তাহের, আজিজুর রহমান, আমিরুল ইসলাম ও হায়দার আলী উপস্থিত ছিলেন।
উভয় আলোচনায় বৈঠকে অধ্যাপক মুন্সী মোঃ বদরুদ্দোজা, জনাব মোকাদ্দেস হোসেন (বাবু), জনাব আব্দুর রহমান গাজী ও প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ আঃ মালেক সাহেব উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় উপস্থিত সকলেই কলেজ প্রতিষ্ঠার স্বপক্ষে জোরালো মতামত পেশ করেন এবং এলাকায় ব্যাপক আলোচনা অনুষ্ঠানের জন্য অতিসত্ত্ববর মিটিং আহবানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অবশেষে ২২—০৯—১৯৯৪ তারিখে হামিদপুর গ্রামের আপামর জনসাধারণ ও পার্শ্ববর্তী এলাকার সকল শ্রেণির জনগণের উপস্থিতিতে এক বিরাট আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় ফতেপুর ইউনিয়নের তৎকালীন সুযোগ্য চেয়ারম্যান জনাব মোকাদ্দেস হোসেন (বাবু) সভাপতিত্ব করেন। বিস্তারিত মতবিনিময় ও আলোচনান্তে এলাকায় একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং উপস্থিত সুধীজনের সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নলিখিত ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে “কলেজ বাস্তবায়ন” কমিটি গঠন করা হয়।

০১। জনাব অধ্যাপক মুন্সী মোঃ বদরুদ্দোজা – সভাপতি
০২। জনাব মোকাদ্দেস হোসেন (বাবু) – সহ-সভাপতি
০৩। জনাব আঃ মালেক গাজী – সদস্য সচিব
০৪। জনাব মোঃ আঃ রহমান গাজী – সদস্য
০৫। জনাব মোঃ সামছুল হক – সদস্য
০৬। জনাব মোঃ আজগার আলী গাজী – সদস্য
০৭। জনাব মোঃ ডাঃ আঃ রব – সদস্য
০৮। জনাব মোঃ রবিউল আউয়াল (রবি) – সদস্য
০৯। জনাব মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন শিকদার (মফু) – সদস্য
১০। জনাব মোঃ গোলাম রহমান – সদস্য
১১। জনাব মোঃ মাহফিজুল ইসলাম (বাদশা) – সদস্য
১২। জনাব মোঃ বদর উদ্দীন মোল্লা – সদস্য
১৩। জনাব মোঃ রজব আলী বিশ্বাস – সদস্য
১৪। জনাব মোঃ মেসবাহুর রহমান (এম.এ) – সদস্য
১৫। জনাব আঃ লতিফ বিশ্বাস – সদস্য
১৬। জনাব ইব্রাহিম হোসেন – সদস্য
১৭। জনাব মোঃ ঈমান আলী – সদস্য
১৮। জনাব আফছার উদ্দীন (সীতারামপুর) – সদস্য
১৯। জনাব মোঃ শাহজাহান মিয়া (ঝুমঝুমপুর) – সদস্য
২০। জনাব মোঃ আইয়ুব হোসেন – সদস্য
২১। জনাব সামছুর রহমান (বালিয়াডাঙ্গা) – সদস্য
২২। জনাব মোঃ আব্দুল্লাহ (বাউলিয়া) – সদস্য

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.