সভাপতির বাণী

**সভাপতির বানী**

কাজী ইনাম আহমেদজাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক পুরস্কারপ্রাপ্ত দক্ষিণ বঙ্গের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ হামিদপুর আল-হেরা কলেজের রয়েছে গৌরব দীপ্ত ইতিহাস। কলেজটি প্রতিষ্ঠাকাল থেকে যুগোপযোগী প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা সম্প্রসারণে গুরু দায়িত্ব পালন করে আসছে। এ কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা মেডিকেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটসহ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষার অগ্রযাত্রায় অংশগ্রহণমূলক ভূমিকা রেখে আসছে। এছাড়া রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, চীন-জাপান, কানাডা সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো ও এ কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের পদচারনায় মুখরিত হচ্ছে।

কলেজের ২০১৭-১৮ শিক্ষা বর্ষের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের সৌহার্দের স্মারক ‘সোনালি স্মৃতি’ প্রকাশিত হচ্ছে যেনে আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি। এ জন্য এ মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি।

কলেজ জীবনের সুন্দর আনন্দঘন মুহুর্তগুলো শিক্ষার্থীরা স্মৃতিময় করে রাখতে চায়। ২০১৯ সালের পাবলিক পরীক্ষায় অবতীর্ণ শিক্ষার্থীরা মেধা-মননের সমন্বিত প্রয়াসে কাক্সিক্ষত সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রবেশ করে এ স্মরণিকার মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত পরিসরের কলেজ জীবনের ফেলে আসা খন্ডিত দিনগুলো এবং পরম বন্ধুদের খুঁজে পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

স্মৃতির পাতায় হারিয়ে যাওয়া বর্ণিল দিনগুলো স্মরণে রাখার এ ঐতিহ্যের স্মারক কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের বন্ধুত্বের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করে পরিপূর্ণ আত্ম প্রত্যয়ী মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে এবং বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে অসামান্য অবদান রাখবে।

শ্রমলব্ধ এ প্রকাশনার জন্য কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ কলেজ পরিচালনা পর্ষদ, সম্পাদনা পর্ষদ, শিক্ষক-কর্মচারি, বিদায়ী ছাত্র-ছাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি রইল আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আমি ‘সোনালি স্মৃতি’র ভবিষ্যৎ সাফল্য কামনা করছি।