অধ্যক্ষের বাণী

**অধ্যক্ষের বানী**

Principleমহাকাল নিরন্তর, নিরবধি। মহাকাল সাক্ষ্য বহন করে অতীতের মহৎ সাধনা কিংবা সৃজনশীল সৃষ্টি। বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যেতে নয়, কালের পটে সগৌরবে মাথা উঁচু করে স্বীয় মহিমা উদ্ভাসিত করতে যশোরের অহংকার হামিদপুর আল-হেরা কলেজ গৌরবময় ঐতিহ্যের ২৫ বছরে পদার্পণ করে ইতিহাস সৃষ্টিকারী রজত জয়ন্তী পালন করবে। কলেজটি অভূতপূর্ব কৃতিত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জনের জন্য দেশে-বিদেশে সমাদৃত হয়েছে। প্রশংসিত হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়, সংসদ সদস্য, বিচারপতি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ সুধীজন কর্তৃক।

২০১৯ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কলেজ জীবনের স্মৃতির স্মারক ‘সোনালি স্মৃতি’ প্রকাশ করতে পেরে মহান আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করছি। এ স্মরণিকা বিস্মৃতির মুক্তি নয়, স্মৃতির বন্ধন। কলেজের আনন্দঘন প্রতিটি মুহুর্ত, শিক্ষার্থী-শিক্ষকের মেলবন্ধন, ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকদের অন্তরে বিশেষ ভাবে রেখাপাত করবে। তা ছাড়া তাদের উচ্চ শিক্ষা জীবনের যে কোন ক্ষেত্রে এ স্মরণিকা চলার পথের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। তৈরি করবে দায়িত্বশীল দেশ প্রেমিক সোনার মানুষ। এ বছর পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা কাক্সিক্ষত ফলাফল অর্জন করে কলেজের সুনাম ও ঐতিহ্য অব্যাহত রাখবে এবং পিতা-মাতা সহ অন্যান্যদের সম্মান সমুন্নত রাখবে বলে বিশ্বাস করি। মহান আল্লাহর নিকট বারে বারে সে কামনাই করছি।

সৌহার্দের সেতুবন্ধন ‘সোনালি স্মৃতি’ প্রকাশে বাণী প্রদান করায় অত্র কলেজের সম্মানিত সভাপতি জননেতা কাজী নাবিল আহমেদ (এম.পি) এর প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কলেজের সুযোগ্য উপাধ্যক্ষ জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম তুহিন এর কার্যকরী ভূমিকা এবং শিক্ষক প্রতিনিধিদের ঐকান্তিক সহযোগিতা ছাড়া এ স্মরণিকার প্রকাশ দ্রুত হত না। এজন্য সকলকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভ কামনা ও অভিনন্দন।

এ মহতী উদ্যোগে স্বল্প সময়ে যাদের শ্রম ও পৃষ্ঠপোষকতায় ‘সোনালি স্মৃতি’ প্রকাশিত হলো সেই সম্পাদনা পর্ষদ, কলেজ পরিচালনা পর্ষদ, বিদায়ী ছাত্র-ছাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি রইল আমার আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

পরিশেষে আমি ‘সোনালি স্মৃতি’র সার্বিক সফলতা কামনা করছি।

 

Principle Signature

(মোঃ মফিজুল ইসলাম)
অধ্যক্ষ
হামিদপুর আল-হেরা কলেজ, যশোর।